বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসি নিউজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার আব্দুল বারীকে (২৭) পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে কেনো এ হত্যাকাণ্ড এবং এর পেছনের কারণ উদঘাটনে পুলিশের অন্য ইউনিটগুলোর পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
তবে কেনো এ হত্যাকাণ্ড এবং এর পেছনের কারণ উদঘাটনে পুলিশের অন্য ইউনিটগুলোর পাশাপাশি ছায়া তদন্তে নেমেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বুধবার (৮ জুন) সন্ধ্যায় বারীর বড় ভাই আব্দুল আলীম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে গুলশান থানায় মামলা করেন। গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, ‘প্রডিউসার আব্দুল বারী যে হত্যার শিকার তা স্পষ্ট।
তিনি কেনো সেখানে গেলেন, সাথে কেউ ছিলেন কিনা, কারা হত্যা করল তা জানার চেষ্টা করছি। আমরা বাসা ও ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করব। পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তিগত সহায়তায় খুনিদের শনাক্তের চেষ্টা করছি।’ গুলশান বিভাগ পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল হাসান ফিরোজ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, প্রথমে বারীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়।
পরে সে বাঁচার জন্য পানিতে নেমে পড়ে। কারণ তার জামাকাপড় ভেজা ছিল। পরে বারী আবার লেকপাড়ে উঠেএলে তাকে মাটিতে ফেলে গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। তার মরদেহেরপাশ থেকে এ সময় রক্ত মাখা ছুরি, মানিব্যাগ এবং মোবাইল উদ্ধারকরা হয়েছে।
আব্দুল বারী ঢাকার বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিউবিটি) থেকে প্রকৌশলে পড়াশোনা করেছেন। গত বছরের ডিসেম্বরে ডিবিসি নিউজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার হিসেবে চাকুরি শুরু করেন। এরপর ফেব্রুয়ারিতে মহাখালীতে একটি ভাড়া বাসায় উঠেন। এর আগে তিনি মোহনা টেলিভিশনে কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ সদরে।
মামলার বিষয়ে গুলশান ডিসি বলেন, আইনগত প্রক্রিয়ায় এই ঘটনায় মামলা হবে। গুলশান গোয়েন্দা বিভাগের উপ-কমিশনার(ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, ডিবিসি নিউজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ প্রডিউসার আব্দুল বারী হত্যার শিকার তা স্পষ্ট। এটা নিয়ে থানা পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি আমরা ঘটনা জানার পর থেকেই ছায়া তদন্ত করছি।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।